বিটিসিতে জাঁকজমকপৃর্ণ ভাবে নবীনবরণ উদযাপিত
বিটিসিতে জাঁকজমকপৃর্ণ ভাবে নবীনবরণ উদযাপিত
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, নতুনদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর আগামীর বাংলাদেশকে গড়ার এবং তোমরা যারা আজ এই কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করতে এসেছো তোমরাই সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ও দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করবে। বিটিসি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ যুগোপযোগী করে গড়ে তোলবার প্রচেষ্টা থাকে। এখানকার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পরিষদ সর্বদাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় কাজ করে থাকেন। ১ আগস্ট ক্লাস শুরু থেকে আজ ১৯ আগস্ট এর মধ্যে তোমরা তোমাদের নিজেদের পরিবর্তন ও সকলের আন্তরিকতা সবই উপলব্ধি করতে পেরেছো।
তিনি আজ সকালে বিটিসির হল রুমে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কারিগরি শিক্ষা কেন গ্রহন করতে হবে? বর্তমান বিশ্বে বিদ্যমান যে সমস্যা আছে সেটা মোকাবেলা করার কৌশল, বিটিসির সুযোগ সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হুরায়রা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী চিন্ময় মজুমদার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী এস.এম.বুলবুল আহম্মেদ, এবং নবীনদের মধ্য হতে প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে শিক্ষার্থী কেউ ইংরেজীতে আবার কেউ বাংলায় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং প্রবীণরাও নবীনদের উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য রাখেন।
এর আগে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং তাদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন পত্র পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন প্রবীণরা নাচ–গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে মুখরিত করে রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও সচিব মোঃ জাফর ইকবাল।
Leave a Reply