যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ বিটিসিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস পালিত
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে- প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে, কারন বাঙলা পৃথিবীতে একমাত্র ভাষা যার অধিকার রক্ষায় প্রাণ বির্জন দিতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের এই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাঙলা ভাষা শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেনি সারা বিশ্বের মার্তৃভাষাকেও দিয়েছে মর্যাদা-দিয়েছে সম্মান তাই এই দিনটি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিসিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি বাঙালিদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি তাই ’৫২ এর মাধ্যমে অর্জিত স্বকীয়তাবোধ শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার চেতনার বীজ বপন করেছে আর ১৯৭১ সালে এক নতুন ভূখন্ড, নতুন পতাকা নিয়ে বাঙালি জাতির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ,শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বিটিসিতে পালিত হয় দিবসটি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলী বলেন, ভাষা শহীদরা চিরকাল আমাদের সকল অধিকার ও আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, তারা দেখিয়ে দিয়েছেন জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও দেশ এর মান রক্ষায় কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়। তাদের আত্মত্যাগেই অর্জিত হয়েছে আমাদের সম্মান-মর্যদা-স্কীয়তা-স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার প্রকৌশলী আইরিন আক্তার, টেক্টটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র লেকচারার আজম আলী। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন সিভিলের শিক্ষার্থী ওজুফা খাতুন, টেক্টাইলের শিক্ষার্থী সুজন পাল, ইলেক্ট্রিক্যালের শিক্ষার্থী মো. সুমন ও কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বাহাউদ্দিন। এ সময় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নির্ধারিত রচনা “ ভাষা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতার সঙগ্রাম-এক ঐক্যব্ধ অঙ্গীকার” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন কম্পিউটার ৪র্থ পর্বের শিক্ষার্থী তানিয়া আফরোজ, ২য় হন ইলেক্ট্রিক্যাল ৪র্থ পর্বের মো. বকুল হোসেন এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন কম্পিউটার ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী মুনমুন আক্তার।
এর আগে বিটিসি ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসজ্জিত বিশাল শোভাযাত্রা বিসিএমসি কলেজে পৌঁছায়।পরে বিটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবিরের নেতেৃত্বে বিসিএমসি কেন্দ্রীয় মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদীতে পুর্ষ্পাঘ্য র্অপণ করা হয়।এসময় বিটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবিরের সাথে থেকে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিসিএমসি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর ও বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। সুসজ্জিত র্যালি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি..আমি কি ভুলিতে পারি…. শোকাবহ এই গান গাইতে গাইতে যখন মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল তখন দু’পাশে শত শত মানুষ অভিভূত হয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
আলোচনা সভায় উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন অত্র কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।