বিটিসিতে বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না—বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি নিজের সুখ শান্তিকে পদদলিত করেছেন দেশ ও জনগনের শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য। তিনি হঠাৎ করে এসেই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসেননি। সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন বাংলা ও বাঙালির জন্য। তাই পাকিস্তানি শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরই তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তিনি চাইলেই নিজের জীবনকে সুখ-স্বাচ্ছন্দে কাটাতে পারতেন । অথচ তা না কারে পাকিস্তানিদেরকে শত্রু বলে আখ্যায়িত করে তিনি সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন । তিনি রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্র নায়ক হয়েছেন । বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না, দেশের আজ যে উন্নয়ন দেখছি এই উন্নয়ন দেখতাম না, আমাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাসহ বড় বড় চাকুরি, শিল্প ও ব্যবসার মালিক হওয়া, ভালো মানের খেলোয়ার তৈরি সহ এ জাতীয় সুযোগ-সুবিধা পেতাম না। তিনি আরো বলেন আমাদের আজ নিজস্ব একটা পরিচয় রয়েছে-রয়েছে মানচিত্র ও পতাকা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এও সম্ভব হতো কিনা জানিনা। আমাদের উচিত তার আদর্শকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় নিজেদেরকে যুক্ত করা।
আজ সকালে বিটিসি’র হলরুমে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রহিদুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আসিফ হাসান প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. জুবায়ের হোসেন, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার বিভাগের ছাত্রী চাঁদনী বিশ্বাস প্রমুখ। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এসময় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ পর্বের ছাত্র হাফেজ মো. মশিউল ইসলাম রাসেল।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় নাজির শংকরপুরস্থ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এক বিশাল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে শহরের বকুলতলাস্থ জাতির জনকের ম্যুরালে শেষ হয়। সেখানে বিসিএমসি কলেজ অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর ও বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে জাতির জনকের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।