বিটিসিতে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত
পাকিস্তানিরা এদেশের নিরীহ বাঙালির উপর গণহত্যা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বর্বর, তারা এদেশের মানুষের অধিকারে বিশ্বাসী ছিল না –বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ(বিটিসি)‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, কোন জাতিসত্তাকে বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্যে হত্যাযজ্ঞ চালানোই গণহত্যা। বাঙালি জাতিসত্তাকে স্তব্ধ করার জন্যেই এই গণহত্যা চালায় পাকিস্তানী বাহিনী। পাকিস্তানিরা এদেশের নিরীহ বাঙালির উপর গণহত্যা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বর্বর, তারা এদেশের মানুষের অধিকারে বিশ্বাসী ছিল না। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বহুবছর পরে হলেও মহান সংসদে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে এই গণহত্যার দায়ে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা করার মাধ্যমে তাদের পক্ষ থেকে এখনো এদেশের বিরুদ্ধে চালানো ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। বেদনাবহ সেই কালো রাত্রির শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।
আজ সকালে বিটিসি‘র হলরুমে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন অত্র কলেজের রেজিস্ট্রার জনাব এস কে এম তহীদুজ্জামান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জি এম ইসরাফিল ইসলাম, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রহিদুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আসিফ হাসান, ও নেচারাল সায়েন্স এর বিভাগীয় প্রধান মো. ইমরান শেখ প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী চাঁদনী বিশ্বাস ও একই বিভাগের মুনমুন আক্তার, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. সুজন ইসলাম প্রমুখ।
পরে গণহত্যায় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হুরায়রা। দোয়া ও মোনাজাতে কলেজ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির এবং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শরীক হন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।