Category Archives: News
বিটিসি কম্পিউটার ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় অফিস ম্যানেজমেন্ট-২০১৯ প্রতিযোগিতা।
আজ ২০ আগষ্ট, ২০১৯ বিটিসি কম্পিউটার ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় অফিস ম্যানেজমেন্ট-২০১৯ প্রতিযোগিতা।
ক্লাব সভাপতি প্রকৌশলী চিন্ময় মজুমদার সভাপতিত্বে কম্পিউটার ল্যাবে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা কন্ট্রোলার মোঃ আবু হুরাইরা। প্রতিযোগিতায় ১ম,২য় ও ৩য় স্থান লাভ করেন যথাক্রমে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় পর্বের ইতি খাতুন ৩য় পর্বের ছাদিয়া সিদ্দকা দৃষ্টি এবং ৩য় পর্বের জি,এম, সালমান, অতিথিরা বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সচিব প্রকৃতি মজুমদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র লেকচারার ইকরামু হাসান, আইনুননাহার , ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী এস.এম.বুলবুল আহমেদ, সহকারী রেজিস্ট্রার নাজমুল আলম, লেকচারার মাহাবুব হোসেন সহ প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন পরীক্ষা কন্ট্রোলার মোঃ আবু হুরাইরা,কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র লেকচারার অমিত মল্লিক এবং সহকারী রেজিস্ট্রার নাজমুল আলম । ফলাফল সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার মাহাবুব হোসেন।
উল্লেখ্য আগামি ২৫ আগষ্ট ২০১৯ মেধা বৃত্তি, সাধারণ বৃত্তি ও শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম প্রতিযোগিতার সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলতি সেমিস্টারের ক্লাব কার্যক্রম প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
বিটিসিতে জাঁকজমকপৃর্ণ ভাবে নবীনবরণ উদযাপিত
বিটিসিতে জাঁকজমকপৃর্ণ ভাবে নবীনবরণ উদযাপিত
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, নতুনদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর আগামীর বাংলাদেশকে গড়ার এবং তোমরা যারা আজ এই কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করতে এসেছো তোমরাই সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ও দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করবে। বিটিসি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ যুগোপযোগী করে গড়ে তোলবার প্রচেষ্টা থাকে। এখানকার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পরিষদ সর্বদাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় কাজ করে থাকেন। ১ আগস্ট ক্লাস শুরু থেকে আজ ১৯ আগস্ট এর মধ্যে তোমরা তোমাদের নিজেদের পরিবর্তন ও সকলের আন্তরিকতা সবই উপলব্ধি করতে পেরেছো।
তিনি আজ সকালে বিটিসির হল রুমে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কারিগরি শিক্ষা কেন গ্রহন করতে হবে? বর্তমান বিশ্বে বিদ্যমান যে সমস্যা আছে সেটা মোকাবেলা করার কৌশল, বিটিসির সুযোগ সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হুরায়রা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী চিন্ময় মজুমদার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী এস.এম.বুলবুল আহম্মেদ, এবং নবীনদের মধ্য হতে প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে শিক্ষার্থী কেউ ইংরেজীতে আবার কেউ বাংলায় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং প্রবীণরাও নবীনদের উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য রাখেন।
এর আগে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং তাদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন পত্র পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন প্রবীণরা নাচ–গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে মুখরিত করে রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও সচিব মোঃ জাফর ইকবাল।
জাতির জনকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
জাতির জনকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
শোক র্যালি, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে জাতির জনকের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ (বিটিসি)। দিবসের শুরুতেই কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। পরে শোক র্যালি সহকারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যূরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বিটিসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির ও অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন। শেষে বিসিএমসি কলেজ হল রুমে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বছর ঘুরে আসা ১৫ আগস্ট আমাদের জন্য কেবল বেদনার তারিখ নয়, কোটি হৃদয়ে জ্বলে উঠবার দিন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সুমহান আদর্শগুলো ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ যাত্রা করেছিল পেছনের দিকে, অন্ধকারের অভিমুখে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত যে মুক্তির আলো আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল ঠিক তার উল্টো পথে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সময় লেগেছিল দীর্ঘ একুশ বছর। আজ দেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে। বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্রের বিচার সম্ভব হয়েছে। সম্ভব হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও। বাংলাদেশে এখন আর বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে না। ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর পথে।
বিসিএমসি কলেজের সাথে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন লেকচারার সাইদ বিন রহমান, লেকচারার মাহবুব হোসাইন ও জুনিয়র লেকচারার অমিত মল্লিক । শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা করেন তনিমা তসনিন তন্নী, সাবরিনা আলম মিম ও নাজমুল ইসলাম।
আলোচনার পূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও এ দিনে শাহাদত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ মুফতি মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিটিসি সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম যাদু।
২৬ মার্চ ২০১৯ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়ামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সালাম গ্রহণকালে দেশ ও প্রবাসের সাথে একযোগে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যশোর শহরে প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ র্যালি বের করে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ, যশোর।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিজয়স্মৃতি স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ, যশোর।
বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যলয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ যৌথভাবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিসিএমসি হলরুমে মহান শহীদদের স্মরণে দোয়া মোনাজাত করেন বিসিএমসি কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম আলহাজ্ব মুফতি মাওলানা মো. মাহাবুবুর রহমান।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ আয়োজিত রচনা প্রতিয়োগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিসিএমসি ম্যাগাজিন ক্লাব প্রকাশিত ইংরেজি দেয়াল পত্রিকা প্যানারোমার মোড়ক উম্মোচন করেন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় নিবেদিত প্রামাণ্য চিত্র ‘১৯৭১’ বিসিএমসি হল রুমে প্রদর্শিত হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ আয়োজিত মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিনকে স্মরণীয় রাখতে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ র্যালি করে যশোরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শেষ হয়। সেখানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর ও বিটিসি অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উপলক্ষে যশোরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ যৌথভাবে বিসিএমসি হলরুমে জাতির জনক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উপলক্ষে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি প্রধান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী দুলাল বড়ুয়া ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন।
সর্বশেষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিনে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নিজস্ব শহীদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, নিজস্ব শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া, দেয়াল পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন ও রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পালিত হয়েছে মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ, ৫২, ৭১ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মত মৌলিক চেতনাগুলোর সাথে কোন সমঝতা বা আপোষ চলবে না। এসব চেতনাকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, একদিন সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবেই।
বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিসি অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিসিএমসি রেজিস্ট্রার ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড সোস্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টি প্রধান অধ্যাপক মো. সারাফাত হোসেন, বিটিসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হুরাইরা, বিসিএমসি’র মেডিটেশন ইন্সট্রাকটর মুরাদ ইলাহী। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিএমসি’র টেক্সটাইল ৪র্থ পর্বের আসিফ ইকবাল, বিটিসির কম্পিউটার ২য় পর্বের তন্নিমা তছনিম তন্নি , বিসিএমসি’র কম্পিউটার ২য় পর্বের লাইছা খাতুন ও বিটিসি টেক্সটাইল ৪র্থ পর্বের আশিক মিয়া।
সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিসিএমসি শহীদ মিনারে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের পক্ষে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির ও অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সারাফাত হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইমতিয়াজ আহমেদ, সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফ্যাকাল্টি হেড অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী দুলাল বড়ুয়া , বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর হেড সহকারী অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান। লাইব্রেরিয়ান আব্দুল জব্বার ও শিক্ষার্থীরা। পরে বিসিএমসি শহীদ মিনারে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্প অর্পণ করেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির ও কলেজটির পরিচালক প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হুরায়রাসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং সকল শিক্ষক কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
এছাড়াও বিসিএমসি কলেজের সিভিল এন্ড কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী আইউব আলীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী দুলাল বড়ুয়ার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ; ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন, মেরিন এন্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান লেকচারার মো. নাজমুল আলম এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ; কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী শাহিন আক্তারের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ; গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান লেকচারার প্রকৌশলী মো. কাজী জাকারিয়া আহমেদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, ন্যাচারাল সাইন্স এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী সৈয়দ কামরুল হাসান এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও মেডিকেল সাইন্স এন্ড টেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী মো. আজিজুল হক এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্যাজুয়াল হেড আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্প অর্পণ করেন।
পরে বিসিএমসি হল রুমে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিসিএমসি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম আলহাজ মুফতি মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান। আলোচনায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিসিএমসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান ও বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম যাদু।
আলোচনা শুরুর পূর্বে দেয়াল পত্রিকা ‘মনন’ এর ৪৫তম সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন করেন প্রধান অতিথি এবং রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জীবনের জন্য বাংলা ও জীবিকার জন্য ইংরেজি’। এ বিষয়ে রচনা লিখে বিসিএমসি’র ইলেকিট্রিক্যাল ৬ষ্ঠ পর্বের মো. শাকিবুর রহমান ১ম, টেক্সটাইল ৪র্থ পর্বের শেখ আব্দুর জাহিদ ২য় ও কম্পিউটার ২য় পর্বের সুমাইয়া আফরোজ লিজা ৩য় স্থান লাভ করেন। বিটিসি’র রচনার বিষয় ছিল ‘রক্তাক্ত বর্ণমালা স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস’। এ বিষেয় ১ম হন কম্পিউটার ৪র্থ পর্বের মো. হোসেন চৌধুরি সবুজ, ২য় সিভিল ৪র্থ পর্বের মো. রাকিব হাসান ও ৩য় সিভিল ৪র্থ পর্বের মো. মেহেদী হাসান পান্না।
অটোমেশনের আওতায় বিটিসি ও বিসিএমসি কলেজ
ইনফরমেশন টেকনোলজি ব্যবহারের শীর্ষধাপে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ এবং বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়। এখন থেকে নিজস্ব সফটওয়ার ব্যবহারে হাজিরা, ক্লাস, নম্বর প্রদান ও বেতনাদি সংগ্রহসহ যাবতীয় কর্যক্রম পরিচালিত হবে অটোমেশনের মাধ্যমে। ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার বিসিএমসি হল রুমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিসিএমসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন প্রধান অতিথির সহোদর নিউওয়ার্ক পুলিশের আইটি বিভাগের কিউ এ ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী সাঈদ মো. একরামুল কবীর। সভাপতিত্ব করেন আর এক সহোদর বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর। উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন আগামীর বাংলাদেশে আইটিকে ভালোবাসতে হবে আইটির সাথেই বসবাস করতে হবে। অটোমেশনে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে। কাজ হয় সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে ল্যাপটপ ছাড়া মানুষ কল্পনা করা যায় না।
উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ এবং বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাব্যিালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের দুটি টেকনিক্যাল সেশন পরিচালিত হয়। সেশন দুটিতে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও যশোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. মোতাহারুজ্জামান ও বিসিএমসি লেকচারার প্রকৌশলী শামীম রেজা। সেশন দুটিতে নতুন এ সফটওয়ার সম্পর্কে বলা হয় এত বৃহৎ আকারের ইএমএস সফটওয়ারের ব্যবহার দেশ বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রথম। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয় ও সফটওয়ারের খুটিনাটি আলোচিত হয়।
বিসিএমসি ও বিটিসির বিজয় দিবস উদযাপন
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র্যালি, বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, দেয়াল পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন, রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনার মাধ্যমে বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ টেকনিকাল কলেজ বিটিসি’র যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হলো ৪৮তম মহান বিজয় দিবস। এসব অনুষ্ঠানে বিসিএমসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিসিএমসি অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিসি অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন।
সহাকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান ও জাহিদুল ইসলাম যাদুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বিসিএমসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শি নেতৃত্বে পৃথিবীর একমাত্র জাতি হিসেবে বাঙ্গালি পেয়েছে রক্তস্নাত বিজয় দিবস। এ দিবসে আমাদের শপথ হওয়া উচিৎ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতার পক্ষের বিপক্ষের নামে জাতি কার্যত দুভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিরা দেশের উন্নয়ন চায়, আর বিপক্ষের শক্তিরা পেছনে টানে। কাজেই তরুণদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন পক্ষে যাবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলায়াত ও দোয়া মোনাজাত করেন বিসিএমসি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব ও পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিসিএমসি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সারাফাত হোসেন, বিটিসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হুরায়রা, প্রভাষক প্রকৌশলী মো. নাজমুল আলম ও প্রভাষক মো. ইমরান শেখ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিএমসি’র টেক্সটাইল ৭ম পর্বের মো. রায়হানুল ইসলাম, কম্পিউটার ১ম পর্বের এস এম সামসুল আমিন মেরাজ, সিভিল ১ম পর্বের ফারহানা ইয়াসমিন রিক্তা ও বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের সিভিল ৩য় পর্বের মো. আরাফাত এবং টেক্সাটাইল ৩য় পর্বের মো. আসিফ আক্তার।
আলোচনা শুরুর পূর্বে বিসিএমসি ম্যাগাজিন ক্লাব প্রকাশিত বাংলা দেয়াল পত্রিকা মনন ও ইংরেজি দেয়াল পত্রিকা প্যানোরমার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। এছাড়াও বিসিএমসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাব আয়োজিত উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সিভিল ৩য় পর্বের শেখ আব্দুর জাহিদ, সিভিল ১ম পর্বের ফারহানা ইয়াসমিন রিক্তা ও ইলেকট্রনিক্স ৫ম পর্বের জুবায়ের; বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাব আয়োজিত ৭১ এর চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সিভিল ৩য় পর্বের মো. মেহেদী হাসান, কম্পিউটার ৩য় পর্বের মো হোসেন চৌধুরি সবুজ ও সিভিল ৩য় পর্বের রাকিব হোসেনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে সূর্য্যোদয়ের সাথে সাথে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা, পরে স্ব স্ব কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিজয় র্যালি বের হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাডেট কোর ও ব্যান্ডপার্টির সদস্যদের অংশগ্রহণ র্যালিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। র্যালিটি বিজয় স্মৃতিস্মম্ভে যেয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে বিসিএমসি হল রুমে আলোচনায় মিলিত হয়। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বিটিসিতে মেধাবৃত্তি, সাধারণ বৃত্তি ও শিক্ষা সহায়ক ক্লাব কার্যক্রম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান
বিটিসিতে মেধাবৃত্তি, সাধারণ বৃত্তি ও শিক্ষা সহায়ক ক্লাব কার্যক্রম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, “শুধু বই মানুষকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত করতে পারে না, এ জন্যে দরকার বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের আর বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক ক্লাব সেই দক্ষতা অর্জনের সহায়ক। শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তির মাধ্যমে বইয়ে তার দখল যেমন প্রমান করে তেমনি শিক্ষা সহায়ক ক্লাবের পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে”।
২৮ নভেম্বর ২০১৮ সকালে বিটিসি’র হলরুমে বৃত্তি প্রদান ও বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তির চেক, সনদ প্রদানের সময় তিনি এ সব কথা বলেন। চলতি সেমিস্টারে বিটিসি’র শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে সনদ প্রদান করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হুরাইরা, কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জি.এম. ইসরাফিল ইসলাম । পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সিভিল ৩য় পর্বের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত হোসেন ও টেক্সটাইল ৩য় পর্বের শিক্ষার্থী মোঃ আশিক মিয়া। অনুষ্ঠানে কোরআন তোলোয়াত করেন প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান মিরু খান । প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাব সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম যাদু ও ক্লাব সচিব শান্তা ইসলাম পলি।
সবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিটিসি লিটারেচার এন্ড কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে আবৃত্তি, সঙ্গীত ও অভিনয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
আজ সকালে বিটিসির হলরুমে বিটিসি লিটারেচার এন্ড কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে আবৃত্তি, সঙ্গীত ও অভিনয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাব সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম যাদুর সভাপতিত্বে ও ক্লাব সচিব শান্তা ইসলাম পলির প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিসি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিসি লিটারেচার এন্ড কালচারাল ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম যাদু। কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় পর্বের মেহেদী হাসান, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ৫ম পর্বের মোঃ কিফাতুল্লা ও ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় পর্বের শ্রাবনী আক্তার শিমু। সঙ্গীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম পর্বের জি.এম. সালমান মোস্তফা, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় পর্বের মেহেদী হাসান ও উম্মে তামান্না। অভিনয়ে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় পর্বের মোঃ হোসেন চৌধুরি সবুজ, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য পর্বের মোঃ আশিক মিয়া ও ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় পর্বের রাকিব হাসান।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন জনাব ইমরান শেখ, জনাব নাজমুল আলম ও নাজমুন নাহার। সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন প্রকৌশলী জি.এম. ইসরাফিল ইসলাম, জনাব বুলবুল আহমেদ ও জনাব মোঃ মাহবুব হুসাইন । অভিনয় প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন প্রকৌশলী মামুদুল হাসান, জনাব মোঃ রেজাউল করিম ও জনাব ভগিরত কুমার পাল।
ফলাফল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন যৌথভাবে জনাব ভগিরত কুমার পাল এবং জনাব মোঃ রফিকুল হাসান।