Category Archives: News
বিটিসিতে জাঁকজমক ভাবে নবীনবরণ উদযাপিত
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, নতুনদেরকে দায়িত্বে নিতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর আগামীর বাংলাদেশকে গড়ার এবং তোমরা যারা আজ এই কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করতে এসেছো তোমরাই সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ও দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে। বিটিসি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ যুগোপযোগী করে গড়ে তোলবার প্রচেষ্টা থাকে। এখানকার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা পরিষদ সর্বদাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় কাজ করে থাকেন। ২ আগস্ট ক্লাস শুরু থেকে আজ ১৩ আগস্ট এর মধ্যে তোমরা তোমাদের নিজেদের পরিবর্তন ও সকলের আন্তরিকতা সবই উপলব্ধি করতে পেরেছো।
তিনি আজ সকালে বিটিসির হল রুমে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কারিগরি শিক্ষা কেন গ্রহন করতে হবে? বর্তমান বিশ্বে বিদ্যমান যে সমস্যা আছে সেটা মোকাবেলা করার কৌশল, বিটিসির সুযোগ সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ এসকে এম তহীদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হুরায়রা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আসিফ হাসান, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জি.এম. ইসরাফিল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান মিরু খান, বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সোস্যাল সায়েন্স ও রিলেটেড সাবজেক্টস্ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আফজাল হোসেন, ন্যাচারাল সায়েন্স ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইমরান শেখ এবং নবীনদের মধ্য হতে প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে শিক্ষার্থী ইংরেজীতে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং প্রবীণরাও নবীনদের উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য রাখেন।
এর আগে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং তাদের উদ্দেশ্যে অভিনন্দন পত্র পাঠকরা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন প্রবীণরা নাচ-গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে মুখরিত করে রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন কলেজের সংগীত প্রশিক্ষক ইসরাত জাহান লিজা এবং হিসাবরক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
বিটিসিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত৷
বাংলাদেশ টেকনিকেল কলেজ ,বিটিসিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে৷ দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৬টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ৷সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজের হলরুমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে আলোচনা অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দিবসটির ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মোঃ আয়ুব আলী৷ উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হুরায়রা৷
এসময় ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠন ,শপথ গ্রহণ ,স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন এই সরকার এর গুরুত্ব ও প্ৰয়োজনীয়তার বিভিন্ন দিক করে বক্তব্য দেন কলেজ রেজিস্টার এস কে এম তহীদুজ্জামান, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল এন্ড গার্মেন্টস ডিজাইন এন্ড প্যাটার্ন মেকিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক ,ন্যাচারাল সাইন্স এন্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর বিভাগীয় প্রধান লেকচারার ইমরান শেখ প্রমুখ৷
বিটিসিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস প্রত্যেককেই জানতে হবে, ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না–বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ(বিটিসি)‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস প্রত্যেককেই জানতে হবে, ইতিহাস যেনো কেউ বিকৃত করতে না পারে, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই স্বাধীনতা রাতারাতি অর্জিত হয়নি, ধীরে ধীরে তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে তিলে তিলে প্রস্তুত করে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন-অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা । তিনি বুঝেছিলেন যে কোনো সময় পাকিস্তানী বাহিনী এই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে মরণ কামড় দেবে, তাই ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিয়েই থেমে ছিলেন না, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়ার আগেই। তিনি মহান রাষ্ট্র নায়ক, স্টেটসম্যান তাই তিনি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছিলেন।
আজ সকালে বিটিসি‘র হলরুমে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর লেকচারার প্রকৌশলী পান্থ গালিব, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষক আযম আলী, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষক জ্যোতি মন্ডল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষক সুজন আলী প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী আমেনা খাতুন সাবিহা, টেক্সটাইলের অপূর্ব কুমার এবং ইলেক্ট্রিক্যালের মেহেদী হাসান প্রমুখ।
এর আগে সকালে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত শোভাযাত্রা পুরাতন খুলনা বাস স্ট্যান্ডের বিজয় স্তম্ভে পৌঁছায়। সেখানে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলীর নেতৃত্বে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
সম্পূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।
বিটিসিতে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত
পাকিস্তানিরা এদেশের নিরীহ বাঙালির উপর গণহত্যা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বর্বর, তারা এদেশের মানুষের অধিকারে বিশ্বাসী ছিল না –বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ(বিটিসি)‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, কোন জাতিসত্তাকে বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্যে হত্যাযজ্ঞ চালানোই গণহত্যা। বাঙালি জাতিসত্তাকে স্তব্ধ করার জন্যেই এই গণহত্যা চালায় পাকিস্তানী বাহিনী। পাকিস্তানিরা এদেশের নিরীহ বাঙালির উপর গণহত্যা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বর্বর, তারা এদেশের মানুষের অধিকারে বিশ্বাসী ছিল না। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বহুবছর পরে হলেও মহান সংসদে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে এই গণহত্যার দায়ে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা করার মাধ্যমে তাদের পক্ষ থেকে এখনো এদেশের বিরুদ্ধে চালানো ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। বেদনাবহ সেই কালো রাত্রির শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।
আজ সকালে বিটিসি‘র হলরুমে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন অত্র কলেজের রেজিস্ট্রার জনাব এস কে এম তহীদুজ্জামান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জি এম ইসরাফিল ইসলাম, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রহিদুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আসিফ হাসান, ও নেচারাল সায়েন্স এর বিভাগীয় প্রধান মো. ইমরান শেখ প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী চাঁদনী বিশ্বাস ও একই বিভাগের মুনমুন আক্তার, ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. সুজন ইসলাম প্রমুখ।
পরে গণহত্যায় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হুরায়রা। দোয়া ও মোনাজাতে কলেজ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির এবং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শরীক হন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।
বিটিসিতে বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস পালিত
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না—বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি নিজের সুখ শান্তিকে পদদলিত করেছেন দেশ ও জনগনের শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য। তিনি হঠাৎ করে এসেই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসেননি। সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন বাংলা ও বাঙালির জন্য। তাই পাকিস্তানি শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরই তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তিনি চাইলেই নিজের জীবনকে সুখ-স্বাচ্ছন্দে কাটাতে পারতেন । অথচ তা না কারে পাকিস্তানিদেরকে শত্রু বলে আখ্যায়িত করে তিনি সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন । তিনি রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্র নায়ক হয়েছেন । বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না, দেশের আজ যে উন্নয়ন দেখছি এই উন্নয়ন দেখতাম না, আমাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাসহ বড় বড় চাকুরি, শিল্প ও ব্যবসার মালিক হওয়া, ভালো মানের খেলোয়ার তৈরি সহ এ জাতীয় সুযোগ-সুবিধা পেতাম না। তিনি আরো বলেন আমাদের আজ নিজস্ব একটা পরিচয় রয়েছে-রয়েছে মানচিত্র ও পতাকা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এও সম্ভব হতো কিনা জানিনা। আমাদের উচিত তার আদর্শকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় নিজেদেরকে যুক্ত করা।
আজ সকালে বিটিসি’র হলরুমে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রহিদুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আসিফ হাসান প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. জুবায়ের হোসেন, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার বিভাগের ছাত্রী চাঁদনী বিশ্বাস প্রমুখ। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এসময় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ পর্বের ছাত্র হাফেজ মো. মশিউল ইসলাম রাসেল।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় নাজির শংকরপুরস্থ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এক বিশাল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে শহরের বকুলতলাস্থ জাতির জনকের ম্যুরালে শেষ হয়। সেখানে বিসিএমসি কলেজ অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর ও বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে জাতির জনকের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিটিসি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ বিটিসিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস পালিত
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে- প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে, কারন বাঙলা পৃথিবীতে একমাত্র ভাষা যার অধিকার রক্ষায় প্রাণ বির্জন দিতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের এই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাঙলা ভাষা শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেনি সারা বিশ্বের মার্তৃভাষাকেও দিয়েছে মর্যাদা-দিয়েছে সম্মান তাই এই দিনটি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিসিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবীর এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি বাঙালিদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি তাই ’৫২ এর মাধ্যমে অর্জিত স্বকীয়তাবোধ শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার চেতনার বীজ বপন করেছে আর ১৯৭১ সালে এক নতুন ভূখন্ড, নতুন পতাকা নিয়ে বাঙালি জাতির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।
জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ,শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বিটিসিতে পালিত হয় দিবসটি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলী বলেন, ভাষা শহীদরা চিরকাল আমাদের সকল অধিকার ও আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, তারা দেখিয়ে দিয়েছেন জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও দেশ এর মান রক্ষায় কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়। তাদের আত্মত্যাগেই অর্জিত হয়েছে আমাদের সম্মান-মর্যদা-স্কীয়তা-স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার প্রকৌশলী আইরিন আক্তার, টেক্টটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জুনিয়র লেকচারার আজম আলী। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন সিভিলের শিক্ষার্থী ওজুফা খাতুন, টেক্টাইলের শিক্ষার্থী সুজন পাল, ইলেক্ট্রিক্যালের শিক্ষার্থী মো. সুমন ও কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বাহাউদ্দিন। এ সময় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নির্ধারিত রচনা “ ভাষা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতার সঙগ্রাম-এক ঐক্যব্ধ অঙ্গীকার” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হন কম্পিউটার ৪র্থ পর্বের শিক্ষার্থী তানিয়া আফরোজ, ২য় হন ইলেক্ট্রিক্যাল ৪র্থ পর্বের মো. বকুল হোসেন এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন কম্পিউটার ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী মুনমুন আক্তার।
এর আগে বিটিসি ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসজ্জিত বিশাল শোভাযাত্রা বিসিএমসি কলেজে পৌঁছায়।পরে বিটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবিরের নেতেৃত্বে বিসিএমসি কেন্দ্রীয় মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদীতে পুর্ষ্পাঘ্য র্অপণ করা হয়।এসময় বিটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবিরের সাথে থেকে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিসিএমসি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এস এম রেজাউল কবীর ও বিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মো. আইউব আলীসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। সুসজ্জিত র্যালি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি..আমি কি ভুলিতে পারি…. শোকাবহ এই গান গাইতে গাইতে যখন মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল তখন দু’পাশে শত শত মানুষ অভিভূত হয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
আলোচনা সভায় উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন অত্র কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ বিটিসিতে বিজয় দিবস পালিত
দেশ এগিয়ে চলেছে, দেশ প্রেমের আর্দশকে লালন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে- বিটিসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল কবির
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ বিটিসিতে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে একটি বিশাল এবং সু সজ্জিত র্যালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানাতে বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল কবির, এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসকে এম তহীদুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হুরায়রা।
সুসজ্জিত র্যালি ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদেরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। পরে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এবং আগামী দিনে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসকে এম তহীদুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি বিটিসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল কবির বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতা বিরোধি চক্রের ষড়যন্ত্র না থাকলে আমাদের এ অর্জন চমকে দিতে পারতো বিশ্বকে, অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হতো আরো অনেক সাফল্য। দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ প্রেমের বীজ অন্তবে বুনে এবং লালন করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন,বাঙ্গালি আশাবাদী, হতাশ হয় না কখনো। প্রকৃত সুখ সমৃদ্ধি আজ না মিললেও নতুন প্রজন্ম নিশ্চয় পাবে এ প্রত্যাশা সবারই আছে। বিজয়ের এই দিনে আমাদের শপথ একটাই তাদের রেখে যাওয়া দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করবো। এগিয়ে নেব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে, দেশকে করবো বিশ্ব সেরা।
আলোচনা শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এবারের রচনার বিষয় ছিল’ স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের ভুমিকা’।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান লেকচারার প্রকৌশলী প্রদ্যুৎ মল্লিক, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী রহিদুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টেক্সটাইল ১ম পর্বের মো. আকিব হোসেন, ইলেক্ট্রিক্যাল ৩য় পর্বের মো. বকুল হোসেন এবং কম্পিউটার ৩য় পর্বের ছাত্রী আমেনা খাতুন। আলোচনা সভায় উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন অত্র কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সচিব ইসরাত জাহান লিজা।
বিটিসিতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত
এ যুদ্ধে জয়ী হতে হলে জঙ্গীবাদ বিরোধী অবস্থানকেই বেছে নিতে হবে- বিটিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল কবির বলেন , জঙ্গীবাদ নামক বিষাক্ত ছোবলে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা যারা বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি এবং উন্নয়ন দেখে ভীত। তারা জঙ্গীবাদকে সূক্ষভাবে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ও তার জনগনের উপর যাতে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে । তাই এ যুদ্ধে জয়ী হতে হলে সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে , জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে, মনে রাখতে হবে, দেশ ও জাতির উন্নয়নে এবং শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতি অবস্থা টিকিয়ে রাখার এই যুদ্ধে কোন নিরপেক্ষ জায়গা নেই – জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে অংশ নিতে হবে।
আজ সকালে বিটিসি’র হলরুমে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথাগুলো বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে আজ সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিটিসি কলেজে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের রেজিষ্ট্রার এসকে. এম. তহীদুজ্জামান। এছাড়া জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী আলোচনা সভায় কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলাম ও জঙ্গীবাদের অবস্থান তুলে ধরেন বিসিএমসি কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মাওঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান। এ সময় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের করণীয় বিভিন্ন দিক তুলে আলোচনা করেন অত্র কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু হুরায়রা, তিনি বলেন মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এছাড়া বক্তব্য দেন অত্র কলেজের বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, সোস্যাল সাইন্স এন্ডা রিলেটেড সাবজেক্টস বিভাগের প্রধান, তানজিল মাহমুদ, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান , প্রকৌশলী জি. এম. ইসরাফীল ইসলাম, সিভিল এন্ড কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান, প্রকৌশলী মো. আসিফ হাসান, ইইটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান, প্রকৌশলী রোহিদুল ইসলাম এবং গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মো. মাহমুদুল হাসান। তারা ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্লাসে মনোযোগী হওয়া, ক্লাব কার্যক্রমে অংশগ্রহন এবং ক্লাসে নিয়মিত হওয়ার প্রতি জোর দেন। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপোশহীনতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দেন টেক্সটাইল ৩য় পর্বের অপূর্ব কুমার রায় ও সুরাইয়া ইয়াসমিন, কম্পিউটার ৩য় পর্বের আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সিভিল ৬ষ্ঠ পর্বের সুজন হোসেন ।
বিটিসিতে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
ইসলাম কখনো মানুষ হত্যা সমর্থন করে না- নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিটিসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল কবির
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মানুষের মুক্তি দিতে পারে না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে কেউ কখনো শান্তি আনতে পারে নি। আর ইসলাম কখনো মানুষ হত্যা সমর্থন করে না, সন্ত্রাসকে ও সমর্থন করে না। আজ তোমরা যারা ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এই কলেজে ভর্তি হয়েছো তারা এখান থেকে জীবন গড়ে আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়তে কাজ করবে এই প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা উচিৎ। নিজেদের জীবনকে কর্মমুখি করতে , দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম- সম্মান অর্জন করতে তোমাদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে কাজ করে আজ বিশ্ববাসিকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন তোমরাও সে সুনামের অংশীদার, তোমরা বাংলাদেশের আগামী দিনের কর্ণধর- এসব কথা নবীন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল কবির। ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান। বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকও প্রবীন শিক্ষার্থীরা এ সময় বিটিসি’র চলমান কার্যক্রম, শিক্ষাসহযোগি ক্লাবের উপকারিতা, বিটিসি’র সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পর্বের পরীক্ষায় সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন।প্রবীণরা ফুল দিয়ে নবীনদের বরণ করে নেন। আজ ২০ আগষ্ট ২০১৬ বিটিসি’র হলরূমে সকালে এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ইসরাত জাহান লিজা,ইনস্ট্রাটর মিউজিক এবং জাহিদুল ইসলাম যাদু ।
বিটিসিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রত্যয়ের মাধ্যমে জাতির জনকের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
বিটিসিতে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রত্যয়ের মাধ্যমে জাতির জনকের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত
জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রত্যয়ের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র্যালি, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া- মোনাজাত।
বিটিসি হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল কবির। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান।
এছাড়া শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে জাতির জনকের স্বপ্ন পূরনের এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।
আলোচনার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও এ দিনে শাহাদত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিটিসি কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হুরাইরা। এর আগে সকালে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। শোক র্যালি ১ম ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ম্যূরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।